Breaking News

Friday 25 October 2019

How Can Planning Social Media Marketing




যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের প্ল্যানিং করবেন

বর্তমানে এসএমএম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং মেথড গুলোর মধ্যে বেশ প্রচলিত। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের প্ল্যানিং করাটা কোনোভাবেই সহজ কোনো কাজ নয়।

কিছুদিন পর পরই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো আপডেট হচ্ছে, যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার আপগ্রেডের সাথে টিকে থাকাটাও বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের প্ল্যানিং করার মানে হচ্ছে কীভাবে আপনার পণ্য বা সেবাটাকে আপনি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর মাধ্যমে প্রচার করবেন ও সেটা থেকে একটা ভালো ফলাফল আশা করবেন।

চলুন তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের জন্য একটি সুষ্ঠ প্ল্যান করা যেতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়টা আসলে কী সে সম্পর্কে আমাদের কিছুটা হলেও ধারণা আছে। তারপরও প্ল্যানিংয়ের সুবিধার্থে আবারো বলে দিই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংটা আসলে কী।

এক কথায় বলতে গেলে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর (ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, লিংকডিন ইত্যাদি) মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবাটাকে প্রচার করা।

বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটা সোশ্যাল মিডিয়াই মার্কেটিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা অ্যানালিটিক্যাল টুলস ও রিসার্চ টুলস যুক্ত করে দিয়েছে। যার ফলে আপনি এখন আপনার পণ্যের প্রচারণার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার অ্যাঙ্গেজমেন্ট, ক্লিক, ভিজিটর এবং প্রগ্রেস সম্পর্কে ধারণা পেতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনি কী ধরণের ফলাফল আশা করছেন, সেটার উপরেও কিন্তু আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের প্ল্যানিং নির্ভর করবে।

যার ফলে আপনাকে প্রথমে ঠিক করতে হবে যে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের ফলে আপনি কী ধরণের লাভ আশা করতে পারেন বা চাইছেন। এক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রশ্ন আপনাকে নিজেকে করতে হবে।
যেমন,
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের থেকে আপনি কী ধরণের ফলাফল আশা করছেন?
আপনার কোম্পানিটি কী সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের জন্য উপযুক্ত?
কোন কোন সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলো ব্যবহারে আপনার কোম্পানিটি বেশি উপকৃত হবে?
আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টিমে কারা আছেন?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাওয়াটা খুবই জরুরী। তার কারণ, এই প্রশ্নগুলোর উত্তরই আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

তাই একদমে মার্কেটিংয়ে চলে যাওয়ার পুর্বে উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর তৈরি করুন। দরকার পড়লে কিছুটা সময় নিয়ে উত্তরগুলো ভাবুন। উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার সময় হয়তো আপনার কাছে আরো বেশ কিছু আইডিয়া কিংবা নতুন প্রশ্ন আসতে পারে।

সেগুলোকেও লিখে ফেলুন। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি উত্তরগুলো নিয়ে সন্তুষ্ট ততক্ষণ পর্যন্ত এগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন।

কেপিআই বা কী পারফর্ম্যান্স ইন্ডিকেটর হচ্ছে এমন কিছু কী-ওয়ার্ড যেগুলো সম্পর্কে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। ধরুন, আপনি যদি ইউটিউবের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে চান।

সেক্ষেত্রে আপনার কাছে অপশন থাকবে অনেকগুলো, যেমন: লাইক বাড়ানো, ডিসলাইক কমানো, সাবস্ক্রাইবার বাড়ানো, ভিউয়ার বাড়ানো অথবা কমেন্ট বৃদ্ধি করা।

এই প্রত্যেকটাই হচ্ছে একেকটা কেপিআই। আপনাকে এখন আপনার স্ট্র্যাটেজি ও ফলাফলের প্রগ্রেসের দিকে চিন্তা করে সঠিক কেপিআই বাছাই করতে হবে। একসাথে একাধিক কেপিআই বাছাই করতে যাওয়াটা একটা বিশেষ ভুল। অনেকেই বিষয়টা করে থাকেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সময় দিয়ে আপনাকে এগুতে হবে। যার ফলে ধৈর্য ধরুন।

বেশ কিছু কেপিআই যেগুলো বর্তমানে বড় বড় কোম্পানিগুলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে,
ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ার বৃদ্ধি
ফেসবুক লাইক বৃদ্ধি
ফেসবুক অ্যাঙ্গেজমেন্ট রিচ
সোশ্যাল শেয়ার (টুইটার, ফেসবুক, লিংকডিন ইত্যাদি)

আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আপনার কোম্পানিটিকে স্মার্ট একটা পজিশনে নিয়ে যাওয়াটাই হবে আপনার লক্ষ্য। স্মার্টের অনেকগুলো নির্দেশক রয়েছে।

যার মাঝে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত একটি নির্দেশক হচ্ছে, এস (স্পেসিফিক), এম (মেজারেবল), এ (অ্যাগ্রিড-আপন), আর (রিয়েলিস্টিক) এবং টি (টাইম-বেইজড)। আপনার লক্ষ্যটিকে তাই স্মার্ট করার দিকেই আপনার নজর রাখতে হবে।

একটা নিয়মের মধ্যে ফেলে আপনার প্ল্যানিংটাকে চলতে দিন, দেখবেন অটোমেটিক্যালি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং স্মার্ট হতে থাকবে। আপনাকে স্মার্টের পাঁচটা অক্ষরের দিকে মনোযোগ রাখতে হবে।

এখন যেহেতু আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের প্ল্যানিংটাকে বেশ স্মার্ট ও আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে আপনি পরিষ্কারভাবে সচেতন হয়ে গিয়েছেন, সেহেতু এখন আপনার কাজ হবে অ্যাক্টিভিটিসের উপর।

বিভিন্ন ধরনের অ্যাক্টিভিটিস রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য। যেমন,
১. প্লাটফর্ম ফোকাস: যেহেতু আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের একটি প্ল্যান তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন আপনাকে বাছাই করতে হবে যে, আপনি কোন প্লাটফর্মে কাজ করবেন আর কোনগুলোকে আপনার লিস্ট থেকে ছুঁড়ে ফেলবেন।
বর্তমানে ব্যবসায়ের জন্য ২১টি সেরা সোশ্যাল প্লাটফর্ম রয়েছে। যেগুলো হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, উইচ্যাট, ইন্সটাগ্রাম, কিউকিউ, টাম্বলার, কিউজোন, টিকটক, সিনা উইবো, টুইটার, রেডিট, বাইডু, লিংকডিন, ভাইবার, স্ন্যাপচ্যাট, পিন্টারেস্ট, লাইন, টেলিগ্রাম এবং মিডিয়াম। এগুলো থেকে আপনাকে বাছাই করতে হবে কোনগুলোতে আপনি কাজ করতে চাচ্ছেন।

২. অ্যালোকেটেড টাইম: যদি আপনি উপর থেকে যেকোনো পাঁচটি সোশ্যাল প্লাটফর্ম বাছাই করে থাকেন তাহলে সেগুলোতে কতক্ষণ কাজ করবেন সেটার দিকে এখন মনোযোগ দিতে হবে।
আপনি যদি সবগুলোতেই কাজ করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে কতক্ষণ করে প্রত্যেকটাতে সময় দেওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব, সেটার দিকে মনোযোগ দিন। এছাড়াও, দিনে বা রাতে কখন এবং কত সময় করে একেকটা সোশ্যাল প্লাটফর্মে আপনি সময় দেবেন সেটা সম্পর্কে ক্লিয়ার হোন।

৩. অ্যালোকেটেড বাজেট: প্রত্যেকটা সোশ্যাল প্লাটফর্মের বর্তমানে বিনামূল্যে ও অর্থ খরচ করে মার্কেটিং করা যায়। আপনাকে ঠিক করতে হবে যে, আপনি কোন মেথডে করবেন।
যদি আপনি দুটোই বাছাই করে থাকেন, তাহলে কোন প্লাটফর্মে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করলে আপনার প্রচারণা সফল হবে সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটের জন্য প্রচুর পরিমাণ ভিজিটরের প্রয়োজন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই পেইড মেথড ব্যবহার করতে হবে।
এখন পেইড মেথডে কোন সাইটগুলোতে কীভাবে কত টাকা খরচ করলে আপনার লাভ হবে সেটার হিসেব করে তারপরে বাজেট নির্ধারণ করবেন।

উপরের স্ট্র্যাটেজিতে আপনার কোম্পানির জন্য মার্কেটিং চালিয়ে যেতে থাকেন। আশা করা যায় যে, বেশ সহজেই আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারণার কাযে সফল হতে পারবেন।


ধন্যবাদ!
অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য আমাদের ONLINE PAYMENT SOLITION service গ্রহন করুন

No comments:

Post a Comment

BEETECH REVIEWS | BEETECH COMMUNICATION OPC||ABOUT BEETECH

  BEETECH COMMUNICATION OTC TOGETHER WE CAN CHANGES THE WORLD ECONOMY Website: www.beetc24.com Facebook: WhatsApp: Telegram: Owner: SAIFUL I...

Designed By Published.. Blogger Templates