অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ইন্টারনেটের মাধ্যমে উপার্জনের যতগুলো উপায় আছে তাদের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সবচাইতে বেশি নির্ভরশীল এবং জনপ্রিয়।
আজকাল অনলাইন থেকে আয় করার ব্যাপারটি আর শুধু গুটি কয়েক ফেসবুক গ্রুপের মেম্বারদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং সমাজের বিভিন্ন স্তরের গন্ডি পেড়িয়ে এটি এখন একটি মূল্ধারার পেশায় পরিনত হয়ে উঠছে।
আর সেই স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে আপনিও যদি নিজের জন্য একটি অনলাইন আয়ের মাধ্যম তৈরী করে নিতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে নিঃসন্দেহে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আপনার ভাবার সময় এসেছে।
আজকের পোস্টে আমরা জানব যে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আপনি নিজের একটি পার্মানেন্ট অনলাইন আয়ের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি
সহজ বলতে গেলে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি যদি কোন পন্যের প্রচার করেন এবং আপনার প্রচারের কারনে যদি সেই পন্যটি বিক্রি হয় এবং এই বিক্রয়ের একটা লভ্যাংশ আপনাকে কমিশন হিসেবে দেয়া হয়, তাহলে সেটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
সহজ বলতে গেলে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি যদি কোন পন্যের প্রচার করেন এবং আপনার প্রচারের কারনে যদি সেই পন্যটি বিক্রি হয় এবং এই বিক্রয়ের একটা লভ্যাংশ আপনাকে কমিশন হিসেবে দেয়া হয়, তাহলে সেটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
একটা বাস্তব উদাহরন দিলে পুরো বিষয়টা ভালভাবে বুঝা যাবে।
মনে করুন, ডেভিড নামে এক ব্যক্তি ইতালিতে বসে একটি হ্যান্ডব্যাগ তৈরীর ব্যবসা চালান। তিনি এখন চাইছেন যে তার তৈরী হ্যান্ডব্যাগ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে সেল হোক।
কিন্তু তার একার পক্ষে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের কাছে তার পন্য পৌছে দেয়া সম্ভব নয়। এমনকি তিনি যদি এই কাজের জন্য বড় একটা মার্কেটিং টিম তৈরী করতে চান, তাহলেও তার পক্ষে এতগুলো মানুষকে দামী স্যালারি দিয়ে পুরো বিশ্বে তার সকল পোটেনশিয়াল কাস্টোমারদের কাছে পৌছানো সম্ভব নয়।
তাই তিনি খোজ নিয়ে জানতে পারলেন যে Shareasale.com এর মত এমন কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে রেজিস্টার করে লাখ লাখ ডিজিটাল মার্কেটারদের সাথে কানেকশন তৈরী করা যাবে।
তিনি তাই করলেন।
এখানে জয়েন করার পরে ডেভিড বুঝতে পারলেন যে তার জন্য এই সিস্টেমে একটা বড় সুবিধা আছে। সেটা হল, তার পন্যের প্রচার করার জন্য কোন মার্কেটারকেই আগে থেকে টাকা বা স্যালারি দিতে হবেনা ডেভিডের! ডেভিড শুধু তখনই একজন মার্কেটারকে পেমেন্ট করবেন যখন তার নিজের পন্য সেল হবে। অর্থাৎ, তার ১০০ ডলারের ব্যাগ সেল হলে ডেভিড সেই সেলের ২০% সেই মার্কেটারকে দিবেন যিনি এই সেলটি জেনারেট করতে সাহায্য করেছেন।
তাই এখানে ডেভিডের জন্য যেমন কোন রিস্ক নেই, তেমনি বিশ্বের লাখ লাখ মার্কেটারের মাধ্যমে ডেভিডের পন্যের প্রচারের সুযোগও এখন Unlimited!
এদিকে সুমন নামের একজন বাংলাদেশি যুবক সম্প্রতি অনলাইনে মার্কেটিং করার খুটি-নাটি শিখে নিয়েছেন। কিন্তু তার নিজের কোন প্রোডাক্ট নেই যা তিনি ইন্টারনেটে বিক্রি করতে পারেন। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি Shareasale-এ একাউন্ট খুলবেন এবং ডেভিডের মত ব্যবসায়ীদের পন্যের প্রচারের জন্য কাজ করবেন।
এখানে সুমনের জন্য সুবিধা হল যে তাকে কোন পন্য তৈরী করতে হচ্ছেনা, পন্যেটিকে সরাসরি কাস্টোমারের কাছে বিক্রিও করতে হচ্ছেনা, পন্য ডেলিভারি দেয়ার ঝামেলা নিতে হচ্ছেনা, এমনকি বিক্রয়ের পরে কাস্টোমারকে সাপোর্টও দিতে হচ্ছেনা। সুমন শুধু পন্যটির প্রচার করে সম্ভাব্য ক্রেতাদের জানাবেন এবং তাদেরকে আগ্রহী করে তুলে পন্যটির ওয়েবসাইটে তাদের পাঠাবেন।
ব্যস, Shareasale-এর মাধ্যমেই সুমন খুজে পেলেন ডেভিডকে এবং সাথে সাথে তার পন্যের প্রচার করার সুযোগের জন্য আবেদন করলেন। ডেভিডও সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সম্মতি দিয়ে দিলেন।
৬ মাস পরে দেখা গেল, সুমন নিয়মিত ডেভিডের সেই ইতালীয় ব্যাগের প্রচার করে চলেছেন। এখন তার প্রচার থেকেই ডেভিডের কোম্পানি মাসে ১০০ টা বেশি ব্যাগ সেল করছে। আর প্রতি ব্যাগের সেল থেকে একটা মোটা অংকের কমিশন জমা হচ্ছে সুমনের JVzoo-এর একাউন্টে। সুমন নিয়মিত তার এই আয় উইথড্র করে নিয়ে আসছেন বাংলাদেশে নিজের ব্যাংকে।
উপরের এই পুরো গল্পে যেই আয়ের মেথড বা সিস্টেম আলোচনা করা হল, এটাই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
গল্পে সুমন হলেন একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার। ডেভিড হলেন একজন Merchant বা Vendor. এবং JVzoo হল একটি অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক, যার কাজ হল merchant এবং affiliate marketer-দের মাঝে সংযোগ ঘটানো।
অনলাইনে ক্যারিয়ার বলতে কি বুঝায়
মূলত, ক্যারিয়ার বলতে আমি সেই আয়ের উৎসকেই বুঝে থাকি যেই উৎস থেকে আমি বর্তমানের পাশপাশি ভবিষ্যতেও দীর্ঘমেয়াদে আয় করতে পারব। অর্থাৎ, ক্যারিয়ার হল এমন বিষয় যেটা ক্ষনস্থায়ী নয়, বরং চিরস্থায়ী একটা আয়ের ব্যবস্থা।
মূলত, ক্যারিয়ার বলতে আমি সেই আয়ের উৎসকেই বুঝে থাকি যেই উৎস থেকে আমি বর্তমানের পাশপাশি ভবিষ্যতেও দীর্ঘমেয়াদে আয় করতে পারব। অর্থাৎ, ক্যারিয়ার হল এমন বিষয় যেটা ক্ষনস্থায়ী নয়, বরং চিরস্থায়ী একটা আয়ের ব্যবস্থা।
তাছাড়া ক্যারিয়ার সিলেকশনের ক্ষেত্রে আরেকটা বড় বিষয় হল আয়ের পরিমান এবং আয় বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকা।
যেমন, আপনি যেই কাজে নিজের ক্যারিয়ার করবেন, সেই কাজ থেকে যদি আপনি সময়ের সাথে নিজের এবং নিজের পরিবারের প্রয়োজন মিটানোর মত যথেষ্ট আয় না তৈরী করতে পারেন, তাহলে সেই ক্যারিয়ার কখনোই ভাল অপশন হতে পারেনা।
এই বিষয়গুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ন তাদের জন্য যাদের উপর নিজেদের পরিবারের ভরন-পোষনের দায়িত্ব আছে অথবা সামনে যেয়ে সেই দায়িত্ব নিতে হবে।
এই কারনে আমি মনে করি যে, শুধুমাত্র আয় করা যায় বলেই কোন একটা কাজের দিকে আগ্রহী হয়ে ঝাপিয়ে না পড়াই ভাল। কেননা, অনলাইন থেকে এমন অনেক উপায়ে এখন আয় করা যায়, যেগুলো হয়ত সাময়িক সময়ের জন্য আকর্ষনীয় মনে হলেও সময়ের পরিবর্তনের সাথে সেগুলো টিকে থাকতে পারবেনা।
তাই আপনাকে ভেবে-চিন্তে এমন একটি আয়ের মাধ্যমের দিকে ফোকাস করতে হবে যেখান থেকে আপনি শুধু বর্তমানেই নয়, বরং সামনের ৫ বা ১০ বছর পরেও আয় করে যেতে পারবেন। এবং সময়ের সাথে যেই মাধ্যম থেকে আপনি একটি আকর্ষনীয় ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
তাই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে, অনলাইন আয়ের মাধ্যমগুলোর মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-ই আমার প্রথম পছন্দ।
ক্যারিয়ার হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন
এর পিছনের কারন একটাই। আর সেটা হল, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং evergreen একটি মেথড।
এর পিছনের কারন একটাই। আর সেটা হল, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং evergreen একটি মেথড।
আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে ইন্টারনেট যুগের শুরুর দিকেও যেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ছিল, তেমনি এখনো এটি শক্তভাবে টিকে আছে এবং যতদিন সামনে ইন্টারনেটে পন্য কেনা-বেচার সুযোগ থাকবে, ততদিন ইন শা আল্লাহ এই মাধ্যম থেকে মানুষ আয় করতে পারবে।
এছাড়াও আরেকটা বড় কারন হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে খুবই হ্যান্ডসাম একটা ইনকাম জেনারেট করা যায়, যা আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে লাখ টাকা স্যালারির চাকরি থেকেও অনেক বেশি আকর্ষনীয়। এবং সময়ের সাথে আপনার কাজের পরিধি বাড়িয়ে এখান থেকে পার্মানেন্ট একটা বিজনেস তৈরী করে নেয়াও সম্ভব।
অর্থাৎ, এই মাধ্যমে আপনার আয়ের সীমা আপনার উপর নির্ভর করবে। আপনি নিজেকে যত বড় উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন, আপনার আয় এবং আপনার যোগ্যতার চাহিদা ততই বাড়তে থাকবে।
তাছাড়া, একজন ভাল অভিজ্ঞ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে ডিজিটাল মার্কেটিং-এর প্রায় সব বড় শাখাতেই নিজের স্কিল তৈরী করে নিতে হয়। সেই জায়গা থেকে তিনি সহজেই ভবিষ্যতের যেকোন বড় পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন।
এছাড়াও, ডিজিটাল মার্কেটিং-এ অভিজ্ঞ হতে থাকায়, একসময় যেয়ে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার সহজেই দেশের কিংবা বিশ্বের যেকোন বড় ব্র্যান্ডের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন।
শুধু তাই নয়, Social Status-এর জায়গা থেকেও affiliate marketing বিশ্বে অনেক প্রতিষ্ঠিত একটি পেশা। আমাদের দেশে হয়ত এখনো “অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং” নামটা জনপ্রিয় হয়নি, তবে ডিজিটাল মার্কেটিং-এর ব্যাপারগুলো ইতোমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর টেকনিক্যালি বলতে গেলে বলাই যায় “affiliate marketing is just another form of digital marketing”.
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর জনপ্রিয়তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারন হল এর কার্যপদ্ধতির simplicity.
মানে, যেহেতু এই কাজে আপনাকে সরাসরি কোন পন্য তৈরী করা, বিক্রি করা কিংবা কাস্টোমার সাপোর্টের মত ব্যাপারগুলো হ্যান্ডেল করতে হয়না, তাই আপনার কাজ অনেকটাই Risk-free and painless হয়ে উঠে। আপনি চাইলেই যখন খুশি যেকোন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে পারবেন, যার ফলে কোন বিশেষ প্রোডাক্টের ডিমান্ড কমে যাওয়া বা ট্রেন্ড শেষ হয়ে যাওয়ার উপর আপনার ইনকাম ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার চান্স থাকেনা।
এই সব মিলিয়েই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অনলাইন থেকে আয়ের অন্যতম সেরা মাধ্যম।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-র স্টেপগুলো কি কি? আমি এই লেখায় আলোচনা না করে আলাদা করে বিস্তারিত আকারে অন্য আরেকটি পোস্টে লিখেছি।
এখানে ক্লিক করে পড়ে আসুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কিভাবে ক্যারিয়ার শুরু করা যায়
উপরের পুরো লেখা পড়ার পরে আমার বিশ্বাস আপনি ইতোমধ্যেই হয়ত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে নিজের একটি ক্যারিয়ার গড়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এবং নিজেকে হয়ত সেই স্বাধীন ক্যারিয়ারে কল্পনা করছেন যেখান থেকে আপনি নিয়মিত ভাল আয় করছেন, যা আপনার এবং আপনার পরিবারের সুখের নিশ্চয়তা দিচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদে আপনি বড় বড় ভবিষ্যত পরিকল্পনা করছেন!
উপরের পুরো লেখা পড়ার পরে আমার বিশ্বাস আপনি ইতোমধ্যেই হয়ত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে নিজের একটি ক্যারিয়ার গড়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এবং নিজেকে হয়ত সেই স্বাধীন ক্যারিয়ারে কল্পনা করছেন যেখান থেকে আপনি নিয়মিত ভাল আয় করছেন, যা আপনার এবং আপনার পরিবারের সুখের নিশ্চয়তা দিচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদে আপনি বড় বড় ভবিষ্যত পরিকল্পনা করছেন!
তাহলে চলুন সরাসরি দেখে নেই আপনার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে কি কি স্টেপে আপনার সামনে আগাতে হবেঃ
১। নিজেকে প্রস্তুত করুন, স্কিল বিল্ড করুনঃ
আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে সত্যিকারভাবে সিরিয়াস হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার উচিত হবে আজ থেকেই নিজের স্কিল ডেভ্লপমেন্টে ফোকাস করা।
আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে সত্যিকারভাবে সিরিয়াস হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার উচিত হবে আজ থেকেই নিজের স্কিল ডেভ্লপমেন্টে ফোকাস করা।
সঠিকভাবে স্কিল ডেভ্লপ না করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এ ভাল করার চিন্তাও করতে পারবেন না।
তাই প্রথমেই আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার খুটি নাটি বিষয়গুলো শিখে নিতে হবে।
তার জন্য কি কি বিষয় শিখবেন, কিভাবে ট্রেনিং নিবেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমি বিস্তারিত লিখেছি আরেকটি পোস্টে। এখানে ক্লিক করে পড়ে আসুন “অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে কি কি বিষয় শিখতে হবে”।
২। ছোট থেকে শুরু করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে ভালভাবে ট্রেনিং শেষ করার পরেই আপনার প্র্যাকটিকাল কাজ শুরু।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে ভালভাবে ট্রেনিং শেষ করার পরেই আপনার প্র্যাকটিকাল কাজ শুরু।
এক্ষেত্রে অবশ্যই ছোট থেকে শুরু করুন। প্রথমেই খুব বড় আকারে কিছু করে ফেলবেন, এমন ভাবনা মন থেকে বাদ দিয়ে দিন। কারন…
কারন হল, নতুন অবস্থায় কাজ শুরুর পরে আপনার কাজে প্রচুর ভুল-ভ্রান্তি হবে। আপনাকে রেগুলার কাজ করে করে এই ভুলগুলো থেকে প্র্যাকটিকালি শিখতে হবে।
এসময়ে সবচেয়ে ভাল হয় যদি এক্সপার্ট কারো সাহায্য নিয়ে নিজের ভুলগুলো নির্ণয় করে নিতে পারেন। কেননা, সচরাচর নিজে থেকে ভুলগুলো একজন নতুন মার্কেটার সহজে ধরতে পারেন না।
একারনেই ছোট পরিসরে শুরু করুন, এর ফলে আপনার ভুলের কারনে আপনার বড় ধরনের কোন লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা। একবার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের কনফিডেন্স বাড়িয়ে নিতে পারলে পরবর্তীতে অনেক বড় আকারে সহজেই কাজ করতে পারবেন।
৩। লম্বা সময়ের পরিকল্পনা করে ফেলুন
সর্বশেষে, নিজেকে একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলতে লম্বা সময়ের পরিকল্পনা করুন। কখনোই কাজ শুরুর প্রথম ২ মাস, ৩ মাস কিংবা ৬ মাসের মধ্যে বড় কিছু করে ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে নামবেন না। এতে আপনার সময় এবং অর্থ দুইটাই অপচয় হবে।
সর্বশেষে, নিজেকে একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলতে লম্বা সময়ের পরিকল্পনা করুন। কখনোই কাজ শুরুর প্রথম ২ মাস, ৩ মাস কিংবা ৬ মাসের মধ্যে বড় কিছু করে ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে নামবেন না। এতে আপনার সময় এবং অর্থ দুইটাই অপচয় হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি সিরিয়াস বিজনেস। এখানে যারা ভাল করেন তারা তাদের জীবনে বিশাল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন। কিন্তু এখানে ভাল করতে হলে নিজেকে আগে ভালভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। আর এই প্রস্তুতি মাত্র অল্প কয়েক দিনেই সম্পন্ন হয়ে যায় না। আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত শেখার মধ্যে থাকতে হবে, কাজ করতে হবে এবং সময় দিয়ে এই পেশায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
রিয়েল লাইফের উদাহরনগুলো একটু ভাবলেই এই ব্যাপারে আপনি পরিষ্কার ধারনা পাবেন।
আপনিই চিন্তা করে দেখুন, আমরা প্রায় ১৬-১৭ বছর পড়াশোনা শেষ করার পরে মাত্র ১৫-২০ হাজার টাকার একটা চাকরি পেতেও হিমশিম খেতে হয়। চাকরিটা পাওয়ার পরেও দেখা যায় অন্তত প্রথম ২ বছর অনেক কষ্ট করতে হয়, বেতন ধীরে ধীরে সামান্য বাড়ে। কিন্তু তারপরেও আমরা কষ্ট করে পড়াশোনা করি, প্রস্তুতি নেই। কারন আমরা জানি যে একটা ভাল পেশায়, যেখানে ভাল ভবিষ্যত আছে, সেখানে বেশ কয়েক বছর কষ্ট করার পরে একটা সময় যেয়ে আমরা খুবই হ্যান্ডসাম একটা বেতনে ভাল একটা পজিশনে যেতে পারব এবং সেখান থেকে নিজের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারব।
তাহলে এবার আপনিই ভেবে দেখুন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মত এমন আকর্ষনীয় একটা পেশায়, যেটা শুরু করতে আপনাকে নতুন করে কোন ডিগ্রী নিতে হচ্ছেনা কিংবা অনেক বড় কোন ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছেনা, সেখানে সফলতা অর্জনের জন্য আপনি নিজেকে কতটুকু পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত আছেন?
আশা করি আমার আজকের এই পোস্ট আপনার ভাল লাগল। আমাকে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে আপনার মতামত, প্রশ্ন কিংবা সমালোচনা জানাতে পারেন। আমার এই লেখা থেকে যদি অন্তত একজন পাঠকও অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন, তাহলেই আমার লেখা স্বার্থক্ মনে করব।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা নিয়ে আরো বিস্তারিত লেখা পড়তে চাইলে ভিজিট করতে পারেন এই লিংকে, যেখানে আমি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কথা বলেছি।
সবাই ভাল থাকবেন, আবার কথা হবে নতুন কোন লেখায়.