https://emarketrelations.blogspot.com/ |
ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে ভাল আয় করে। তবে সেই আয় টিকিয়ে রাখতে তাদের বিক্রয়কর্মীর মনোভাব তৈরি করতে হবে। আপনার আর্থিক অবস্থানটি ভাল রাখতে আপনার ব্র্যান্ডের নিয়মিত ব্র্যান্ডিং প্রয়োজনীয় সামাজিক মিডিয়া এই ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের সহায়তা করতে পারে।
দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা জানেন যে আপনার মানিব্যাগটি জায়গায় রাখা আপনার ব্র্যান্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করার জন্য প্রয়োজনীয়। এর জন্য আপনাকে বিক্রয়কের মানসিকতা থেকে লাভটি খুঁজে বের করতে হবে। কল করতে, যোগাযোগ করতে এবং সভার সময় নির্ধারণের জন্য আপনি ব্যবসা বা কাজের সরঞ্জাম হিসাবে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন। আপনার প্রতিদিনের রুটিনে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারেন।
একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি ভূমিকা রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে লিংকডইন। এটা দারুণ নেটওয়ার্কিং টুল। তবে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পাবেন ফেসবুক থেকে। টুইটারে আপনার দক্ষতা বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত জানাতে পারবেন।
অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের মতে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সারকে সামাজিক হতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ নিয়ে মাতামাতি আপনার জন্য খুব বেশি ভালো ফল দেবে না। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সামাজিক না হলে আপনি নতুন মানুষের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না। লিংকডইনের মতো সাইটে আপনার পরিচিত পেশাদার ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন। যেকোনো বিষয়ে অভিনন্দন জানানো বা সময় সুযোগ বুঝে কাজের খোঁজখবর রাখতে পারেন।
যাঁরা উদ্যোক্তা বা নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, তাঁদের ফেসবুকে ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবসা সংক্রান্ত বন্ধু হওয়া উচিত। এতে ব্যক্তিগত পর্যায়ের যোগাযোগের চেয়ে নেটওয়ার্কিং বাড়বে। ফেসবুকে আজেবাজে পোস্ট দেওয়ার চেয়ে আপনার কাজসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে পোস্ট দিতে পারেন। টুইটারে টুইট করার ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হ্যাশট্যাগ যুক্ত করে নিজের সেবাগুলো সম্পর্কে জানাতে পারেন।
প্রবাদে আছে, মুচির ছেলের পায়ে জুতো থাকে না। ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে কথাটি খাটে। অনেক সময় নিজের সামাজিক যোগাযোগের সাইট নিজে চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। এ কারণে সহকারী সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে দায়িত্ব দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি টুল আপনার কাজে লাগতে পারে। এমন একটি টুল হচ্ছে পকেট ব্রাউজার। এ ব্রাউজারের মাধ্যমে বিভিন্ন আর্টিকেল সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। এ ছাড়া কাজে লাগাতে পারেন বাফার নামের সোশ্যাল মিডিয়া শিডিউল টুল। এতে বিভিন্ন পোস্ট প্রকাশ করার জন্য আগে থেকে শিডিউল করে রাখতে পারবেন। এ ছাড়া বানান ও গ্রামার ঠিক করতে গ্রামারলি ওয়েব অ্যাপ ও ক্রোম এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সময় ঠিক করে নিতে পারেন। প্রতিদিন সকালে ১৫ মিনিট পড়ার জন্য, সপ্তাহে ১৫ মিনিট পকেটে সংরক্ষণ করা লেখা শিডিউল করতে ও প্রতিদিন সকালে কয়েক মিনিট আপনার প্রয়োজনীয় যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন।
সঠিক নিয়মে সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহার করলে তা ফ্রিল্যান্সারের জন্য সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। তা না হলে কাজের সময়ের বেশির ভাগই ‘ফেসবুক’ খেয়ে ফেলবে।
Affiliate Marketing
No comments:
Post a Comment