মানি ম্যানেজমেন্ট
মানি ম্যানেজমেন্ট হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ফরেক্স ট্রেডাররা তাদের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করে থাকে। ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য মানি ম্যানেজমেন্ট খুবই জরুরী। একটি ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট আপনার অ্যাকাউন্টকে ব্যাঙ্কর্যাপ্টসি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। একটি ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট ফলো করলে আপনার ক্যাপিটাল হারানোর সম্ভাবনা খুব কম।
ভাল মানি ম্যানেজমেন্টের কিছু নিয়ম রয়েছেঃ
১. অ্যাকাউন্টের ছোট পার্সেনটেজ নিয়ে রিস্ক নিনঃ
অ্যাকাউন্টের ছোট পার্সেনটেজ রিস্ক নেয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ? এর কারন হচ্ছে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে হবে। প্রথমে আপনার অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে হবে, তারপর প্রফিটের কথা ভাবতে হবে।
ভালো ট্রেডার তারাই যারা তাদের অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে পারে এবং এ ব্যাপারে সচেতন।
যদি আপনি কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করেন তবে কোন ট্রেডে আপনার লস অনেক বেশী হলেও চাইলে আপনি আপনার ট্রেডটিকে হোল্ড করতে পারবেন।
ট্রেডে আপনার অ্যাকাউন্টের মোট পার্সেনটেজের কম এবং বেশী রিস্ক নিয়ে ট্রেডের একটি উদাহরন নিচে দেখা যাক। দেখুন টানা ১০টি ট্রেডে লস আপনার অ্যাকাউন্টের কতটুকু ক্ষতি করতে পারে।
স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে ২% রিস্ক এবং ১০% রিস্কের মধ্যে পার্থক্য। কেউ সহজে টানা ১০টি ট্রেড হারেনা। যদিও আপনি সবচেয়ে খারাপ ট্রেড করেন, তবুও ২% রিস্ক নিলে আপনি ১০টি ট্রেডে হারলে আপনি আপনার ক্যাপিটালের ১৭% হারাবেন, যেখানে প্রতি ট্রেডে ১০% রিস্ক নিলে আপনি ১০টি ট্রেড হারলে আপনি আপনার ক্যাপিটালের ৬০% এর বেশী হারাবেন। সুতরাং, বুঝতে পারছেন মানি ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব। আপনি যদি ঠিকভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট করতে না পারেন তবে আপনি ব্যাপক লসের সম্মুখিন হতে পারেন।
২. হারান ক্যাপিটাল পুনরুদ্ধার করা কঠিনঃ
কেউ যদি তার অ্যাকাউন্টের কিছু অংশ হারায়, তাহলে তা পুনরুদ্ধার করা কতটা কঠিন?
আপনি যদি আপনার অ্যাকাউন্টের ৫০% হারান, তাহলে আপনাকে লস রিকভার করতে আপনার নতুন ব্যালেন্সের ১০০% লাভ করতে হবে। আর যদি ৭৫% হারান, তবে নতুন ব্যালেন্সের ৩০০% প্রফিট করতে হবে শুধুমাত্র পূর্বের লস রিকভার করার জন্য। তাই আপনি যদি একবার বিরাট লস করে তারপর সেই লস রিকভার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তবে প্রফিট করবে কে?
এখানেই চ্যালেঞ্জ। চেষ্টা করে দেখুন ডেমো অ্যাকাউন্টে ৩০০% অথবা আপনার রিয়েল অ্যাকাউন্টে অন্তত ১০০% প্রফিট করতে পারেন কিনা। এটা অতটা সহজ হবেনা। মানি ম্যানেজমেন্ট এই জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. ট্রেড করার আগে রিস্কঃরিওয়ার্ড রেশিও হিসাব করুনঃ
যখন একটি ট্রেডে লস করার সম্ভবনা প্রফিট করার থেকে বেশী, তখন ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন। সবসময় ট্রেড করতে হবে এমন কোন কথা নেই।
উদাহরনসরূপঃ
১. ৪০ পিপস লস vs ৩০ পিপস প্রফিট
২. ২০ পিপস লস vs ২০ পিপস প্রফিট
২টি উদাহরনই বাজে রিস্ক ম্যানেজমেন্টের উদাহরন।
একটি ট্রেড ওপেন করার আগে এটা নিশ্চিত করুন যে রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও অন্তত ১:২ (১:৩ রেশিও বা এর থেকে বেশী ভাল)।
এর মানে হচ্ছে আপনার এমন একটি ট্রেডই ওপেন করা উচিত যেটাতে আপনার লস করার সম্ভবনা থেকে লাভের সম্ভবনা ততগুন হবে। যেমনঃ আপনি ৩০ পিপস লস করার পরিপেক্ষিতে ১০০ পিপস লাভ করতে পারবেন এমন ট্রেডে এন্ট্রি করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনি যদি মানি ম্যানেজমেন্টের এই রুলসটি সঠিকভাবে মেনে চলেন, তবে তা পরবর্তীতে আপনাকে সাফল্য পেতে এবং স্ট্যাবল প্রফিট পেতে সাহায্য করবে।
রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিওর নিচের চার্টটি দেখুন। এখানে ১:৩ রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও নিয়ে ১০টি ট্রেড করা হয়েছে।
একজন যখন কোন ট্রেডে লস করে, তখন সে $১০০ ডলার হারিয়েছে। কিন্তু তার প্রতিটি প্রফিটেবল ট্রেডে সে $৩০০ ডলার প্রফিট করেছে।
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে কোন ট্রেডার যদি ১:৩ রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও নিয়ে যদি ৫০% ট্রেডেও সফল হয়, তবুও সে ভাল পরিমান লাভ করতে পারে।
ভাল মানি ম্যানেজমেন্টের কিছু নিয়ম রয়েছেঃ
১. অ্যাকাউন্টের ছোট পার্সেনটেজ নিয়ে রিস্ক নিনঃ
অ্যাকাউন্টের ছোট পার্সেনটেজ রিস্ক নেয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ? এর কারন হচ্ছে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে হবে। প্রথমে আপনার অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে হবে, তারপর প্রফিটের কথা ভাবতে হবে।
ভালো ট্রেডার তারাই যারা তাদের অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে পারে এবং এ ব্যাপারে সচেতন।
যদি আপনি কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করেন তবে কোন ট্রেডে আপনার লস অনেক বেশী হলেও চাইলে আপনি আপনার ট্রেডটিকে হোল্ড করতে পারবেন।
ট্রেডে আপনার অ্যাকাউন্টের মোট পার্সেনটেজের কম এবং বেশী রিস্ক নিয়ে ট্রেডের একটি উদাহরন নিচে দেখা যাক। দেখুন টানা ১০টি ট্রেডে লস আপনার অ্যাকাউন্টের কতটুকু ক্ষতি করতে পারে।
স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে ২% রিস্ক এবং ১০% রিস্কের মধ্যে পার্থক্য। কেউ সহজে টানা ১০টি ট্রেড হারেনা। যদিও আপনি সবচেয়ে খারাপ ট্রেড করেন, তবুও ২% রিস্ক নিলে আপনি ১০টি ট্রেডে হারলে আপনি আপনার ক্যাপিটালের ১৭% হারাবেন, যেখানে প্রতি ট্রেডে ১০% রিস্ক নিলে আপনি ১০টি ট্রেড হারলে আপনি আপনার ক্যাপিটালের ৬০% এর বেশী হারাবেন। সুতরাং, বুঝতে পারছেন মানি ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব। আপনি যদি ঠিকভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট করতে না পারেন তবে আপনি ব্যাপক লসের সম্মুখিন হতে পারেন।
২. হারান ক্যাপিটাল পুনরুদ্ধার করা কঠিনঃ
কেউ যদি তার অ্যাকাউন্টের কিছু অংশ হারায়, তাহলে তা পুনরুদ্ধার করা কতটা কঠিন?
আপনি যদি আপনার অ্যাকাউন্টের ৫০% হারান, তাহলে আপনাকে লস রিকভার করতে আপনার নতুন ব্যালেন্সের ১০০% লাভ করতে হবে। আর যদি ৭৫% হারান, তবে নতুন ব্যালেন্সের ৩০০% প্রফিট করতে হবে শুধুমাত্র পূর্বের লস রিকভার করার জন্য। তাই আপনি যদি একবার বিরাট লস করে তারপর সেই লস রিকভার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তবে প্রফিট করবে কে?
এখানেই চ্যালেঞ্জ। চেষ্টা করে দেখুন ডেমো অ্যাকাউন্টে ৩০০% অথবা আপনার রিয়েল অ্যাকাউন্টে অন্তত ১০০% প্রফিট করতে পারেন কিনা। এটা অতটা সহজ হবেনা। মানি ম্যানেজমেন্ট এই জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. ট্রেড করার আগে রিস্কঃরিওয়ার্ড রেশিও হিসাব করুনঃ
যখন একটি ট্রেডে লস করার সম্ভবনা প্রফিট করার থেকে বেশী, তখন ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন। সবসময় ট্রেড করতে হবে এমন কোন কথা নেই।
উদাহরনসরূপঃ
১. ৪০ পিপস লস vs ৩০ পিপস প্রফিট
২. ২০ পিপস লস vs ২০ পিপস প্রফিট
২টি উদাহরনই বাজে রিস্ক ম্যানেজমেন্টের উদাহরন।
একটি ট্রেড ওপেন করার আগে এটা নিশ্চিত করুন যে রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও অন্তত ১:২ (১:৩ রেশিও বা এর থেকে বেশী ভাল)।
এর মানে হচ্ছে আপনার এমন একটি ট্রেডই ওপেন করা উচিত যেটাতে আপনার লস করার সম্ভবনা থেকে লাভের সম্ভবনা ততগুন হবে। যেমনঃ আপনি ৩০ পিপস লস করার পরিপেক্ষিতে ১০০ পিপস লাভ করতে পারবেন এমন ট্রেডে এন্ট্রি করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনি যদি মানি ম্যানেজমেন্টের এই রুলসটি সঠিকভাবে মেনে চলেন, তবে তা পরবর্তীতে আপনাকে সাফল্য পেতে এবং স্ট্যাবল প্রফিট পেতে সাহায্য করবে।
রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিওর নিচের চার্টটি দেখুন। এখানে ১:৩ রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও নিয়ে ১০টি ট্রেড করা হয়েছে।
একজন যখন কোন ট্রেডে লস করে, তখন সে $১০০ ডলার হারিয়েছে। কিন্তু তার প্রতিটি প্রফিটেবল ট্রেডে সে $৩০০ ডলার প্রফিট করেছে।
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে কোন ট্রেডার যদি ১:৩ রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও নিয়ে যদি ৫০% ট্রেডেও সফল হয়, তবুও সে ভাল পরিমান লাভ করতে পারে।
No comments:
Post a Comment