Breaking News

Friday, 19 April 2019

WHAT IS FOREX INDICATOR

ইন্ডিকেটর কি ?




ইন্ডিকেটর এক ধরনের নির্দেশক, যা আপনাকে প্রাইস বাড়বে কি কমবে নির্দেশ করে। যদি আপনার অজানা থাকে যে প্রাইস কি বাড়তে পারে কিংবা কমতে পারে, তবে ইন্ডিকেটর আপনাকে সে ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এটা বিভিন্ন সিগন্যাল দেখায় যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে পরবর্তীতে প্রাইস বাড়বে না কমবে এবং সে অনুসারে ট্রেড করতে পারেন। এছাড়া অনেক ইন্ডিকেটর মার্কেট ট্রেন্ড বুঝতেও আপনাকে সাহায্য করবে।

মনে রাখবেন ইন্ডিকেটর কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ফর্মুলা দিয়ে কাজ করে। তাই আপনি যে সব সময় সঠিক সিগন্যাল পাবেন তা নয়। অনেক সময় ভুল সিগন্যাল আসতে পারে। আবার ফান্ডামেন্টাল নিউজের কারনে ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল অনেক সময় কাজ করবে না। তাই অন্ধভাবে ইন্ডিকেটর অনুসরন না করে নিজের অ্যানালাইসিসকে এর সাথে কাজে লাগিয়ে ট্রেড করুন।

অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। মেটাট্রেডারে ডিফল্টভাবে কিছু ইন্ডিকেটর দেয়া থাকে। যেমনঃ Bollinger Bands, Moving Average, parabolic Sar ইত্যাদি। এছাড়াও অনলাইনে হাজার হাজার ইন্ডিকেটর ফ্রি পাওয়া যায়। আপনি সেগুলো মেটাট্রেডারে যোগ করে নিতে পারবেন। গুগলে Forex indicator লিখে সার্চ করলেই অনেক ইন্ডিকেটর পাবেন। এছাড়া বিডিপিপসের "ফরেক্স ইন্ডিকেটর" সেকশনে অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। যেকোনো ইন্ডিকেটর প্রথমে ডেমোতে টেস্ট করে দেখুন। ফলাফল ভাল লাগলে তারপর রিয়েল ট্রেডে ব্যবহার করুন।


ফরেক্সে প্রফিট করার অনেক উপায় রয়েছে। আর আপনি যখন ইন্ডিকেটর নিয়ে কাজ করবেন, এরা আপনার ট্রেডিং টুলবক্সে একেকটি ভিন্ন ভিন্ন টুলস হিসেবে কাজ করবে। আপনার হয়তো ইন্ডিকেটর ব্যবহার করার প্রয়োজন নাও থাকতে পারে, কারন হয়ত আপনি নিজেই অনেক ভাল মার্কেট অ্যানালাইসিস করতে পারেন অথবা আপনার আগে থেকেই পছন্দের ইন্ডিকেটর রয়েছে। কিন্তু নতুন নতুন টুলস আপনার ট্রেডিংকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং আপনি আরও ভালভাবে অ্যানালাইসিস করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু খুব বেশি ইন্ডিকেটর ব্যবহার না করাই ভাল। ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডিকেটর হয়তো আপনাকে আরও দ্বিধাগ্রস্থ করে তুলবে।

আমরা এখানে যেসব ইন্ডিকেটর নিয়ে আলোচনা করব তা হলঃ

 Bollinger Bands
Parabolic Sar
Stochastic
ADX
আরও অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। ভবিষ্যতে বিডিপিপস ফরেক্স স্কুলে আর নতুন নতুন ইন্ডিকেটর যুক্ত করা হবে।
শুধুমাত্র একটি ইন্ডিকেটর কখনো অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। কমপক্ষে ২-৩ টি ইন্ডিকেটর দেখে অ্যানালাইসিস করে ট্রেডের প্রস্তুতি নিন। ইন্ডিকেটর অনেক সময় ভুল সিগন্যাল দেয়।



Bollinger Bands




মার্কেট ভোলাটিলিটি অনুধাবন করার জন্য Bollinger Bands ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করা হয়।

এই ছোট টুলসটি আমাদের বলে দিবে যে মার্কেট কি এখন শান্ত না অশান্ত। যখন মার্কেট শান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে যায়, আর যখন মার্কেট অশান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি প্রশস্ত হয়ে যায়।

নিচের চার্টটি দেখুন। যখন মার্কেট শান্ত ছিল, তখন ব্যান্ড ২টি কাছাকাছি ছিল। কিন্তু যখন প্রাইস খুব দ্রুত বেড়ে গেছে অর্থাৎ মার্কেট অশান্ত হয়ে গেছে, তখন ব্যান্ড ২টি দূরে সরে গেছে।



Bollinger Bounce:

Bollinger Bands সম্পর্কে একটি ব্যাপার আপনার জেনে রাখা দরকার যে প্রাইস অধিকাংশ সময় ব্যান্ডের মাঝখানে ফিরে আসে। এটাই হল Bollinger Bounce এর আসল আইডিয়া। নিচের চার্টটি দেখে কি আপনি বলতে পারেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যেতে পারে?


এখন আপনি যদি বলে থাকেন যে দাম কমবে তাহলে আপনার উত্তর সঠিক। নিচের চার্টে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে প্রাইস কমে গেছে এবং প্রাইস ব্যান্ড ২টির মাঝখানে চলে এসেছে।



আপনি এখন যেটা দেখলেন সেটা হল Bollinger Bounce. এরকম বাউন্স হবার কারন হল Bollinger bands এর ব্যান্ড ২টি ডাইনামিক সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লেভেল হিসেবে কাজ করে।

আপনি যত বড় টাইমফ্রেম ব্যবহার করবেন, ব্যান্ডগুলো তত শক্তিশালি হবে। মার্কেট যখন একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘোরাফেরা করে এবং কোন নির্দিষ্ট ট্রেন্ড থাকে না, তখন এই স্ট্রাটেজীটি ভাল কাজ করে।



Bollinger Squeeze:

যখন ব্যান্ড ২টি খুব বেশি সংকুচিত হয়ে যায় তখন এটি সাধারনত নির্দেশ করে যে সম্ভবত ব্রেকআউট হতে যাচ্ছে।

যদি ক্যানডেল ওপরের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে ওপরে উঠে যায় তবে সাধারনত প্রাইস আরও ওপরে উঠতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস বাড়তে থাকে। আর যদি ক্যানডেল নিচের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে নিচে নামতে থাকে, তাহলে প্রাইস আরও নিচে নামতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস কমতে থাকে।


ওপরের চার্টটি দেখুন। ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে আসছে। প্রাইস ওপরের ব্যান্ডটি ব্রেক করে ওপরে উঠে যাচ্ছে। এই চার্টের ওপর ভিত্তি করে আপনি কি মনে করেন প্রাইস কি বাড়বে না কমবে?



আপনি যদি বলে থাকেন যে প্রাইস বাড়বে তাহলে আপনি সঠিক। এভাবেই সাধারন Bollinger Squeeze কাজ করে।

এরকম ট্রেডের সুযোগ আপনি প্রতিদিন পাবেন না। কিন্তু ১৫ মিনিটের চার্টে আপনি সপ্তাহে কয়েকবার এরকম ট্রেডের সুযোগ পেতে পারেন।

Bollinger bands দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ট্রেড করা যায়। কিন্তু এই ২টি হল Bollinger Bands দিয়ে ট্রেড করার সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ ট্রেডিং স্ট্রাটেজী।




Parabolic Sar



অধিকাংশ ইন্ডিকেটর আপনাকে নতুন ট্রেন্ড শুরু হবার সিগন্যাল দেয়। নতুন ট্রেন্ড চিহ্নিত করা যেমন জরুরি, তেমনি ট্রেন্ডের সমাপ্তি চিহ্নিত করাটাও ততটা জরুরী। যদি সঠিক সময়ে ট্রেড ক্লোজ না করা হয় তবে সঠিক সময়ে ট্রেড ওপেন করে খুব একটা লাভ নেই।



কিভাবে Parabolic SAR এর সাহায্যে ট্রেড করবেনঃ

Parabolic SAR খুব সহজ এবং সাধারন একটি ইন্ডিকেটর। যখন ক্যানডেলের নিচে ডট আসে, তখন তা বাই সিগন্যাল বোঝায়। আর যখন ক্যানডেলের ওপরে ডট আসে তখন তা সেল সিগন্যাল বোঝায়।



কিভাবে Parabolic Sar এর সাহায্যে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ

কখন আপনার ট্রেড ক্লোজ করা উচিত তা আপনি Parabolic Sar এর সাহায্যে বুঝতে পারেন। নিচের EURUSD চার্টে দেখুন Parabolic Sar exit সিগন্যাল হিসেবে কাজ করেছে ডেইলি চার্টে।


৩ টি ডট দেখলেই আপনি আপনার পূর্বের ট্রেড ক্লোজ করে নতুন ট্রেন্ডের দিকে নতুন ট্রেড ওপেন করতে পারেন।



Stochastic




Stochastic হল আরেকটি ইন্ডিকেটর যা আমাদের কখন ট্রেন্ডের সমাপ্তি হতে পারে তা নির্দেশ করে।

Stochastic মার্কেট overbought না oversold তা নির্দেশ করে।



Stochastic ব্যবহার করে কিভাবে ট্রেড করতে হয়ঃ

Stochastic আমাদের বলে দেয় কখন মার্কেট overbought এবং কখন মার্কেট oversold.

Stochastic এ ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত একটি স্কেল আছে। যখন Stochastic লাইন ৮০'র ওপরে থাকে (অর্থাৎ লাল ডট ডট লাইনের ওপরে থাকে), তখন বুঝতে হবে যে মার্কেট এখন overbought. আর যখন Stochastic লাইন ২০'র নিচে থাকে (অর্থাৎ নীল ডট ডট লাইনের নিচে থাকে), তখন বুঝতে হবে যে মার্কেট এখন oversold.

আর আমরা জানি যে মার্কেট যখন oversold থাকে তখন আমরা বাই করি, এবং মার্কেট যখন overbought থাকে তখন আমরা সেল করি।


ওপরের চার্টটি দেখুন। Stochastic অনেকক্ষণ থেকেই overbought অবস্থা দেখাচ্ছে। এই চার্ট দেখে আপনার কি মনে হচ্ছে? প্রাইস এরপর কোথায় যেতে পারে?



আপনার উত্তর যদি হয়ে থাকে যে প্রাইস এখন কমবে তাহলে আপনি একদম সঠিক। কারন মার্কেট অনেকক্ষণ ধরেই overbought অবস্থায় আছে, তাই এই অবস্থায় এখন প্রাইস কমে যেতে বাধ্য।

Stochastic ইন্ডিকেটরের বেসিক কার্যপ্রণালী এটাই। অনেক ট্রেডার Stochastic কে অন্যভাবেও ব্যবহার করেন। কিন্তু মার্কেটের overbought অথবা oversold অবস্থা বোঝাতেই Stochastic ইন্ডিকেটরটি মূলত ব্যবহৃত হয়।


ADX



The Average Directional Index,অথবা ADX ইন্ডিকেটরটি আপনাকে বর্তমান ট্রেন্ডের দৃঢ়তা সম্পর্কে অবহিত করবে। এটা আপনাকে মার্কেট আপট্রেন্ডে না ডাউনট্রেন্ডে আছে তা বলে দিবে না, কিন্তু মার্কেট কি একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘুরছে না মার্কেটে নতুন কোন ট্রেন্ড তৈরি হতে যাচ্ছে তা জানতে আপনাকে সাহায্য করবে।

এতে ০ থেকে ১০০ এর স্কেল রয়েছে। ২০ এর নিচে রিডিং নির্দেশ করে বর্তমান ট্রেন্ডটি দুর্বল, এবং ৫০ এর ওপরে রিডিং নির্দেশ করে যে বর্তমান ট্রেন্ডটি যথেষ্ট শক্তিশালী।

নিচের চার্টটি দেখুনঃ



ওপরের উদাহরণে দেখুন, সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ADX ২০ এর নিচে ছিল। তখন প্রাইস একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে।

জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে ADX ৫০ এ চলে গিয়েছিল এবং নির্দেশ করেছে যে একটি শক্তিশালি ট্রেন্ড গঠিত হতে পারে। এরপর কি হয়েছিল? চার্টে দেখুন। শক্তিশালি ডাউনট্রেন্ডের ফলে EURCHF ৪০০ পিপস কমে গিয়েছিল।

সুতরাং, যে এই ট্রেন্ডের দৃঢ়তা সম্পর্কে অবহিত ছিল, সে কিন্তু ডাউনট্রেন্ড দেখে সহজেই নিশ্চিন্তে সেল অর্ডার ওপেন করেছে এবং প্রায় ৪০০ পিপসের মত লাভ করেছে।

পরবর্তী উদাহরণটি দেখুনঃ



প্রথম উদাহরণটির মতই, ADX অনেকক্ষণ ২০ এর নিচে ছিল এবং তখন EURCHF রেঞ্জিং করছিল, কিন্তু যখন হঠাৎ ADX ৫০ এর ওপরে উঠে আসে, এবং EURCHF আপট্রেন্ডের ফলে অনেক বেড়ে যায়।

ADX ইন্ডিকেটর কিন্তু আপনাকে কখনই বলবে না যে কখন বাই করতে হবে অথবা কখন সেল করতে হবে। এটা আপনাকে বলে দিবে যে সম্ভাব্য বা বর্তমান ট্রেন্ডে যে আপনি ট্রেড করতে চাচ্ছেন, তা নিরাপদ কিনা।

ADX এর সাহায্যে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে কখন আপনার ট্রেডটি ক্লোজ করা উচিত। যখন ADX ৫০ থেকে কমে যেতে থাকবে, তখন আপনাকে বুঝতে হবে যে বর্তমান ট্রেন্ডটি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, তাই তখন আপনি আপনার প্রফিট লক করতে পারেন।

আপনি ADX কে অন্য একটি ইন্ডিকেটরের সাথে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাকে বলে দিবে যে মার্কেট কি আপট্রেন্ডে না ডাউনট্রেন্ডে।



No comments:

Post a Comment

BEETECH REVIEWS | BEETECH COMMUNICATION OPC||ABOUT BEETECH

  BEETECH COMMUNICATION OTC TOGETHER WE CAN CHANGES THE WORLD ECONOMY Website: www.beetc24.com Facebook: WhatsApp: Telegram: Owner: SAIFUL I...

Designed By Published.. Blogger Templates